এসএসসির ফরম পূরণ না করতে দেওয়ায় শিক্ষকসহ ৪ জনকে কোপ
স্টাপ রিপোটার ॥ নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য এক ছাত্রকে এসএসসির ফরম পূরণের সুযোগ না দেওয়ায় শিক্ষকসহ চার জনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার স্কুল চলাকালীন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন— বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ভাই আব্দুল হাই (৪৮), সহকারী শিক্ষক জিন্নাত আলী (৫২) পিয়ন সুনিল কুমার (৪২) ও এসএসসি পরীক্ষার্থী আব্দুল্লাহ শাহারিয়ার। এদের মধ্যে আব্দুল হাই ও আব্দুল্লাহ শাহারিয়ারকে প্রথমে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আব্দুল হাইয়ের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় যশোর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবর্ণা রানী সাহা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তাদের এলাকার সোহেল রানা, তাজমুল ইসলাম ও মিনাজ হোসেন নামের তিন যুবক নিজেদেরকে ছাত্রলীগের নেতা বলে দাবি করে আসছে। আজ তারা স্কুল চলাকালীন দা-রোড নিয়ে স্কুলে ঢুকে কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করেছে। এ ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র জানান, এবার এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় তার বিদ্যালয় থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। এ কারণে তারা শিক্ষা বোর্ডের এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এসএসসির ফরম পূরণ করতে পারেনি।
নারায়ণ চন্দ্র জানান, বৃহস্পতিবার সকালে অনুপমপুর গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে সোহেল আহমেদ, চাপরাইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে তাজমুল এবং লিটন গাজীর ছেলে মিনাজ ধারালো দা ও রড নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে। এ সময় তারা অকৃতকার্য কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের হুমকি দিতে থাকে। শিক্ষকেরা তাদের এ অযৌক্তিক দাবি মেনে না নেওয়ায় তারা সহকারী শিক্ষক জিন্নাত আলী ও কয়েকজন ছাত্রকে মারপিট করে আহত করে। প্রধান শিক্ষক আরও জানান, একই সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পাশ্ববর্তী একটি দোকানে লিটন হোসেন ও চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল হকের ভাই আব্দুল হাইকে কুপিয়ে জখম করে।
পরে গ্রামবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া করলে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠু মালিতা জানান, অভিযুক্ত যুবকেরা ছাত্রলীগের কোনো পদে নেই এবং তারা ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত না। স্থানীয়রা তাদের বখাটে হিসেবেই চেনে। অভিযুক্তদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস আলী বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশের অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই তিন যুবককে আটকের জন্য।’ কালীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও সুর্বণা রানী সাহা জানান, তিনি খবর পেয়ে স্কুলটিতে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। অভিযুক্ত তিন যুবককে আটকের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে স্কুল চলাকালীন অস্ত্র নিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালানোর ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ নিন্দা জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তাদের এলাকার সোহেল রানা, তাজমুল ইসলাম ও মিনাজ হোসেন নামের তিন যুবক নিজেদেরকে ছাত্রলীগের নেতা বলে দাবি করে আসছে। আজ তারা স্কুল চলাকালীন দা-রোড নিয়ে স্কুলে ঢুকে কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করেছে। এ ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র জানান, এবার এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় তার বিদ্যালয় থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। এ কারণে তারা শিক্ষা বোর্ডের এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এসএসসির ফরম পূরণ করতে পারেনি।
নারায়ণ চন্দ্র জানান, বৃহস্পতিবার সকালে অনুপমপুর গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে সোহেল আহমেদ, চাপরাইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে তাজমুল এবং লিটন গাজীর ছেলে মিনাজ ধারালো দা ও রড নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে। এ সময় তারা অকৃতকার্য কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের হুমকি দিতে থাকে। শিক্ষকেরা তাদের এ অযৌক্তিক দাবি মেনে না নেওয়ায় তারা সহকারী শিক্ষক জিন্নাত আলী ও কয়েকজন ছাত্রকে মারপিট করে আহত করে। প্রধান শিক্ষক আরও জানান, একই সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পাশ্ববর্তী একটি দোকানে লিটন হোসেন ও চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল হকের ভাই আব্দুল হাইকে কুপিয়ে জখম করে।
পরে গ্রামবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া করলে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠু মালিতা জানান, অভিযুক্ত যুবকেরা ছাত্রলীগের কোনো পদে নেই এবং তারা ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত না। স্থানীয়রা তাদের বখাটে হিসেবেই চেনে। অভিযুক্তদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস আলী বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশের অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই তিন যুবককে আটকের জন্য।’ কালীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও সুর্বণা রানী সাহা জানান, তিনি খবর পেয়ে স্কুলটিতে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। অভিযুক্ত তিন যুবককে আটকের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে স্কুল চলাকালীন অস্ত্র নিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালানোর ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ নিন্দা জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
No comments