মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা মতিয়ার রহমান নাশকতা মামলার আসামী
স্টাফ রিপোর্টার:একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আশা নিয়ে বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নাশকতা মামলার আসামী হয়েছেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমান। ২৮ নভেম্বর বুধবার রাতে তার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেছেন পুলিশ। তিনি এই আসনে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর এই নেতাকে জোট মনোনয়ন দিয়েছেন।এই আসনে জোটের পক্ষ থেকে আরো তিনজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন কন্ঠশিল্পী মনির খাঁন, কেন্দ্রিয় সাবেক ছাত্রনেতা আমিরুজ্জামান খাঁন শিমুল ও মেহেদী হাসান রনি। তারাও বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর) আসনে আওয়ামীলীগের শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চলসহ আরো চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেনমহেশপুর থানা পুলিশের একটি সুত্রে জানাগেছে, ২৮ নভেম্বর রাতে মহেশপুর উপজেলার বেলেমাঠ বাজার এলাকা থেকে তারা ২ জনকে আটক করেন। এরা হলেন মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়ীয়া গ্রামের শফি উদ্দীনের ছেলে জামিল হাসান (২২) ও কোটচাদপুর উপজেলার রবিক উদ্দীনের ছেলে মুরাদ কবির (২৬)। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ৯ টি হাতবোমা উদ্ধার করে। পুলিশের ওই সুত্রটি আরো জানায়, তারা নাশকতা সৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এই ঘটনায় মহেশপুর থানার এসআই কাঞ্চন বাদি হয়ে মহেশপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার ৩০, তারিখ ২৮-১১-২০১৮ ইংরেজি। যে মামলায় আটক দুই যুবক ছাড়াও জোট মনোনিত অধ্যাপক মতিয়ার রহমানসহ আরো ১৩ জনকে এজাহার ভুক্ত আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে ৭ জনকে। এখন পর্যন্ত মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ১৯ টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে ১৭ টিতে তিনি জামিন নিয়েছেন। বাকি ২ টি মামলা সদ্য দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে আটককৃত জামিল হাসানের বড়ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, তার ভাই সন্ধ্যা পর্যন্ত মান্দারবাড়িয়া বাজারে তার দোকানে বসা ছিল। তিনি মোবাইলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন। তার দোকানে বেশ কিছু বিল জমা পড়েছিল। তিনি ছোট ভাই জামিলের হাতে সেই বিলগুলো ও মোবাইল ফোন দিয়ে বাড়িতে পাঠান। বাড়ি বসে বিলগুলো পরিশোধের কাজ করবে সেই ইচ্ছা নিয়ে জামিল বাড়িতে যান। কিন্তু বাড়ির গেটের সামনে থেকে মহেশপুর থানার পুলিশ তাকে আটক করে। এরপর তাকে নাশকতার মামলায় দেওয়া হয়েছে। যে মামলায় মতিয়ার রহমানও আসামী বলে তারা শুনেছেন। তিনি আরো জানান, জামিলকে আটকের সময় গোলাম মোর্শেদ নামের আরেক জনকে আটক করা হয়েছিল। পুলিশ পরে তাকে ছেড়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে মহেশপুর থানায় এস আই কাঞ্চন মতিয়ার রহমানের নামে গত রাতে (২৮ নভেম্বর) একটি মামলা হয়েছে বলে শিকার করেন। যে মামলার তিনি বাদি। তবে বিস্তারিত জানাতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। আর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শামীম মিয়া জানান, একটি মামলা হয়েছে। তিনি তদন্ত করছেন, এখনই বিস্তারিত বলা যাবে না।
No comments