চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস চেয়ে হাইকোর্টে খালেদার আপিল
চিত্রা নিউজ ডেস্ক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের সাজা ও অর্থদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আজ রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির এই আপিল করেন। আপিলে তার জামিন প্রার্থনা করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই হাইকোর্টের এখতিয়ার সম্পন্ন যে কোনো বেঞ্চে আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ২৯ অক্টোবর ওই মামলায় রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে দশ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।পাশাপাশি ওই ট্রাস্টের অনুকূলে কেনা রাজধানীর কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রীয় অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।এই রায়ের বিরুদ্ধে আজ আপিল করলেন খালেদা জিয়া। উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে পরের বছর ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তার স্বামী জিয়াউর রহমানের নামে তার তৎকালীন সেনানিবাসের বাড়ির ঠিকানায় নামসর্বস্ব জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। খালেদা জিয়া, তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান ওই ট্রাস্টের ট্রাস্টি হয়েও চ্যারিটেবল কাজে কোনো অর্থ ব্যয় করেননি। বরং নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিগত সময়ে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ অর্থ সংগ্রহ করেন। অর্থ পরিচালনায় দায়িত্বরত থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ব্যয় করেন তার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী। হারিছের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) জিয়াউল ইসলাম এবং সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সহকারী ব্যক্তিগত সচিব (এপিএস) মনিরুল ইসলাম পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারার অপরাধ করেছেন।
অভিযোগপত্র দাখিলের দুই বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এরপর বিচার শুরু হয়।
আজ রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির এই আপিল করেন। আপিলে তার জামিন প্রার্থনা করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই হাইকোর্টের এখতিয়ার সম্পন্ন যে কোনো বেঞ্চে আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ২৯ অক্টোবর ওই মামলায় রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে দশ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।পাশাপাশি ওই ট্রাস্টের অনুকূলে কেনা রাজধানীর কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রীয় অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।এই রায়ের বিরুদ্ধে আজ আপিল করলেন খালেদা জিয়া। উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে পরের বছর ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তার স্বামী জিয়াউর রহমানের নামে তার তৎকালীন সেনানিবাসের বাড়ির ঠিকানায় নামসর্বস্ব জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। খালেদা জিয়া, তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান ওই ট্রাস্টের ট্রাস্টি হয়েও চ্যারিটেবল কাজে কোনো অর্থ ব্যয় করেননি। বরং নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিগত সময়ে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ অর্থ সংগ্রহ করেন। অর্থ পরিচালনায় দায়িত্বরত থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ব্যয় করেন তার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী। হারিছের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) জিয়াউল ইসলাম এবং সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সহকারী ব্যক্তিগত সচিব (এপিএস) মনিরুল ইসলাম পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারার অপরাধ করেছেন।
অভিযোগপত্র দাখিলের দুই বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এরপর বিচার শুরু হয়।
No comments