ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে থাকছেন না ড. কামাল
চিত্রা নিউজ ডেস্ক: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না ড. কামাল হোসেন। কয়েকটি সূত্র বলছে যে, কামাল হোসেন অসুস্থ, একারণে তিনি কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। কিন্তু অসুস্থ হলেও ২১ নভেম্বরে তিনি সরকারের দুটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে একটি হলো বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত ঈদে মিলাদুন্নবীর মিলাদ মাহফিল। অন্যটি হলো, সেনাকুঞ্জে সশস্ত্রবাহিনীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। কিন্তু গতকাল গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘ইভিএমকে না বলুন, ভোটের অধিকার সংরক্ষণ করুন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি উপস্থিত হননি। ওই অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন প্রধান অতিথি। ওই সেমিনারে ইভিএমের বিভিন্ন অপকারীতা সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির একজন নেতা। সেখানে ঐক্যফ্রন্টের মাহমুদুর রহমান মান্না, আ.স.ম. আব্দুর রব এবং বিএনপির মহাসচিব বক্তব্য রাখেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্টের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই বৈঠকেও তিনি অসুস্থতার কথা বলে অংশগ্রহণ করেননি। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের এই দুরত্ব নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। ঐক্যফ্রন্ট সূত্রে জানা গেছে, ড. কামালের অভিমানের মূল কারণ বিএনপির মনোনয়ন কার্যাবলীতে তারেক জিয়ার উপস্থিতি। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময় কথা হয়েছিল, তারেক জিয়া নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবেন না। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট গঠনের কিছুদিনের মধ্যেই তারেক বিএনপির নেতৃত্ব নিজের হাতে তুলে নেন। এমনকি স্কাইপের মাধ্যমে তিনি লন্ডনে বসে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন। এ ঘটনায় ড. কামাল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন যা ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন। এরপরই ড. কামাল ঘোষণা দেন, তিনি নির্বাচন করবেন না। জানা গেছে, ড. কামালের মান ভাঙাতে এবং তাঁকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে রাজি করাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠকে বসবেন। ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকার গুলশান অথবা ধানমন্ডির আসনটি ড. কামাল হোসেনের জন্য রাখা হবে। মান ভাঙাতে ড. কামালকে অনুরোধ করে বলা হবে, তাঁকে কিছুই করতে হবে না, তিনি শুধু নির্বাচনে দাঁড়াবেন। নির্বাচনের সব দায়িত্ব নেবে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
No comments