কালীগঞ্জে মদ খেয়ে ৩ জনের মৃত্যু অসুস্থ দু’জন হাসপাতালে

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অতিরিক্ত মদপানে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরো দু’জন অসুস্থ হয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে মদ খেয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।যারা মারা গেছেন তারা হলেন, কালীগঞ্জ শহরের বলিদাপাড়া গ্রামের নির্মল কুমারের ছেলে বিকাশ কুমার ওরফে বাপ্পি (৩৫), কলেজপাড়ার অখিল দাসের ছেলে মুন্না দাস (৩২) এবং শহরের কালীবাড়ির পাশে বিমল মিত্রের ছেলে শুভঙ্কর মিত্র ওরফে টিটো কর্মকার (৪৫)। এ ঘটনায় পুলিশ বলছে তারা এখনো বিষয়টি জানে না। তবে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে মদ খাবার বিষয়টি স্বীকার করলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তারা মারা গেছে বলে তাদের দাবি। এছাড়া তারা বিষয়টি নিয়ে নিউজ না করার জন্যও দাবি করে।খোজ নিয়ে জানা যায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপুজার আনন্দে তারা মদ খেয়েছিল। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে বিকাশ দাস মদ খেয়ে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হয়। রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বিকাশ। এছাড়া শুক্রবার রাতে মদ খেয়ে অসুস্থ হয় বিকাশ কুমার ও শুভঙ্কর মিত্রসহ আরো কয়েক জন। তাদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর শুভঙ্কর মিত্র ও বিকাশ কুমার মারা যায়। এছাড়া হাসপাতালে মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শহরের নিমাই দাসের ছেলে তপন দাস (৩৮), শহরের কলেজপাড়ার বানচারামের ছেলে পিন্টু (৩০) ও নির্মল দাস (৫৫)। এরমধ্যে শনিবার সকালে বৃদ্ধ নির্মল দাস হাতপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
নিহত মুন্না দাসের ভাই অন্তর দাস জানান, দূর্গাপূজার উৎসবে অতিরিক্ত মদ পান করে অসূস্থ হয়ে পড়ে মুন্না। তাকে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেভানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মুন্না।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা সাফায়াতে হুসাইন জানান, হাসপাতালে সবাই মদ খেয়ে অসুস্থ অবস্থায় এসেছিল। এদেরমধ্যে গত দু’দিনে তিনজন মারা গেছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইউনুস আলী জানান, তিনি বিষয়টি জানেন না। মদ খেয়ে মারা গেছে এমন কোন সংবাদও আমাদের কেউ দেয়নি। তবে প্রত্যেক পূজা মন্ডপ কমিটির সাথে মিটিং করে মদ সেবন না করার জন্য বলা হয়েছিল বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

No comments

Powered by Blogger.