কোটচাঁদপুর পৌর মেয়রের দূর্নীতির বিরুদ্ধে আ’লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ; দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃকোটচাঁদপুর পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম জাহিদের দূর্নীতির বিরুদ্ধে পৌর আ’লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। রবিবার বিকাল ৫ টায় স্থানীয় কোটচাঁদপুর মেইন বাজার পায়রা চত্বরে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কোটচাঁদপুর পৌর আ’লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামাউল হক লাড্ডু, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আযম বিশ্বাস, পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বুলবুল, পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফ শেখ, সাবেক পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, সাবেক উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, পৌর আ’লীগ নেত্রী রুবিনা রহমান ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শেখ শাহীনসহ উপজেলা ও পৌর শাখার আ’লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, সুশীল সমাজ এবং সর্বস্তরের সাধারণ জনগন। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা মেয়র জাহিদুল ইসলাম জাহিদের আড়াই বছরের অনিয়ম ও দূর্নীতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, কোটচাঁদপুর পৌরবাসি যে প্রত্যাশা নিয়ে তাকে মেয়র নির্বাচিত করেছে, সেটা পূরণ করতে তিনি পুরাপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। সেই সাথে মেয়র ও পৌর সচিব এনামুল হক মিঠুর অস্বাভাবিক অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে পৌরবাসি আজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। মেয়র সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে নিজের ও পরিবারের আখের গোছানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি শুধূ পৌরবাসির সাথেই বিশ্বাস ঘাতকতা করেননি বরং পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথেও করছেন ছলচাতুরি। বছরের পর বছর পৌরসভার সাধারণ কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাকী রেখে তিনি নিজের বাড়ি-গাড়ী করতে ব্যস্ত রয়েছেন। অন্যের টাকা ও সাহায্য নিয়ে ভোট করে তিনি আজ কোটিপতি বনে গেছেন। পৌরসভার এমন কোন যাইগা নেই যেখানে মেয়র জাহিদ অনিয়মও দূর্নীতি করেননি। নারী কেলেঙ্কারী ও জুয়া খেলা তার নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার।
পৌর সভার নামে শহরের যেখানেই জমি দেখতে পেয়েছেন সেখানেই হানা দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের লোভ দেখিয়ে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা নিজের পকেট ভরেছেন। গেল শুক্রবার মেইন বাজার চত্বরে মার্কেট তৈরীর নামে পৌরসভার ৫ও ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন ও রকিব উদ্দীনের উপস্থিতিতে সাধারণ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে বিত্তশালীদের কাছ থেকে ইতোমধ্যেই মেয়র জাহিদ ৫-৭ লক্ষ টাকা গ্রহন করেছেন। এতোমধ্যে সেই কাজ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে। এছাড়াও কয়েক মাস আগে স্থানীয় বারোমাসা ব্রীজের নিকটে দুধসারা গ্রামের রাজ্জাক মাষ্টারের ১৯৮৫-৮৬ সালের ক্রয়কৃত ৩ বিঘা আবাদী জমি ভুয়া কাগজ পত্র তৈরী করে মাষ্টারের অনুপস্থিতিতে নিজের দখলে নিয়েছেন । এদিকে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পের কাজের নামে স্থানীয় ঠিকাদারদের টেন্ডার দেবার নাম করে তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিল তুলে নিয়েছেন। ঠিকাদাররা কাজের টাকা নিতে গেলে তিনি তাদের সাথে বিভিন্ন রকম বাহানা দেখিয়ে যাচ্ছেন। কোটচাঁদপুর মেইন বাসষ্টান্ড মসজিদ সংলগ্ন পৌর গোরস্থান সংস্কারের কাজেও বড় ধরনের অনিয়ম করেছেন তিনি। এখানে সরকারি বাজেট ছিল প্রায় ৫৮ লক্ষ টাকা। কিন্তু তিনি সেখানে ২০-২৫ লক্ষ টাকার কাজ করে বাকী টাকা নিজের পকেটে ভরে বিলাসিতার জীবন-যাপন করছেন। বক্তরা আরও দাবী করেন তিনি আ’লীগের কেউ না, তিনি ছাত্রদলের সাবেক বহিস্কৃত নেতা এবং তার ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধূর ছবি ব্যবহার করার অধিকার নেই।বক্তারা মেয়র ও পৌর সচিবের যোগসাজসে এইসব দূর্নীতি ও অনিয়মের সঠিক বিচার চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও দুদকের আসু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিক্ষোভ সমাবেশটি পরিচাললনা করেন, উপজেলা সেচ্চাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আজাদ তালুকদার।এব্যাপারে কোটচাঁদপুর পৌর সভার মেয়র জাহিদুল ইসলাম জাহিদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন তার মানসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এক শ্রেণীর কুচক্রি মহল এই সমস্ত কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে।
পৌর সভার নামে শহরের যেখানেই জমি দেখতে পেয়েছেন সেখানেই হানা দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের লোভ দেখিয়ে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা নিজের পকেট ভরেছেন। গেল শুক্রবার মেইন বাজার চত্বরে মার্কেট তৈরীর নামে পৌরসভার ৫ও ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন ও রকিব উদ্দীনের উপস্থিতিতে সাধারণ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে বিত্তশালীদের কাছ থেকে ইতোমধ্যেই মেয়র জাহিদ ৫-৭ লক্ষ টাকা গ্রহন করেছেন। এতোমধ্যে সেই কাজ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে। এছাড়াও কয়েক মাস আগে স্থানীয় বারোমাসা ব্রীজের নিকটে দুধসারা গ্রামের রাজ্জাক মাষ্টারের ১৯৮৫-৮৬ সালের ক্রয়কৃত ৩ বিঘা আবাদী জমি ভুয়া কাগজ পত্র তৈরী করে মাষ্টারের অনুপস্থিতিতে নিজের দখলে নিয়েছেন । এদিকে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পের কাজের নামে স্থানীয় ঠিকাদারদের টেন্ডার দেবার নাম করে তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিল তুলে নিয়েছেন। ঠিকাদাররা কাজের টাকা নিতে গেলে তিনি তাদের সাথে বিভিন্ন রকম বাহানা দেখিয়ে যাচ্ছেন। কোটচাঁদপুর মেইন বাসষ্টান্ড মসজিদ সংলগ্ন পৌর গোরস্থান সংস্কারের কাজেও বড় ধরনের অনিয়ম করেছেন তিনি। এখানে সরকারি বাজেট ছিল প্রায় ৫৮ লক্ষ টাকা। কিন্তু তিনি সেখানে ২০-২৫ লক্ষ টাকার কাজ করে বাকী টাকা নিজের পকেটে ভরে বিলাসিতার জীবন-যাপন করছেন। বক্তরা আরও দাবী করেন তিনি আ’লীগের কেউ না, তিনি ছাত্রদলের সাবেক বহিস্কৃত নেতা এবং তার ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধূর ছবি ব্যবহার করার অধিকার নেই।বক্তারা মেয়র ও পৌর সচিবের যোগসাজসে এইসব দূর্নীতি ও অনিয়মের সঠিক বিচার চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও দুদকের আসু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিক্ষোভ সমাবেশটি পরিচাললনা করেন, উপজেলা সেচ্চাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আজাদ তালুকদার।এব্যাপারে কোটচাঁদপুর পৌর সভার মেয়র জাহিদুল ইসলাম জাহিদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন তার মানসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এক শ্রেণীর কুচক্রি মহল এই সমস্ত কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে।
No comments