শৈলকুপা পৌর ভূমি অফিসের নায়েবের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করলেন এক কৃষক

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌর ভূমি অফিসের নায়েব আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে পৌর এলাকার মাঠপাড়ার আবুল কাশেম নামের এক কৃষক। রবিবার দুপুরে চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থিত শৈলকুপা প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে তার পারিবারিক সদস্যদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাঠপাড়া গ্রামের ছামছুদ্দিন শেখের পুত্র আবুল কাশেম জানান অভিযোগ করেন, ৫১ নং শৈলকুপা মৌজার ৪৩৪৮ নং দাগের ১৬ শতক জমি নিয়ে প্রায় ২বছর ধরে বিরোধ চলছে। এর পূর্বে খোশকোবলামূলে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত উক্ত বিরোধীয় জমির নাম খারিজ করে ৫১ বছর যাবত তিনি ভোগ দখল করে আসছেন। ২ বছর পূর্বে তার পার্শ্ববর্তী জমির মালিক উক্ত ১৬ শতক জমি দাবি করে তিনিও একটি খোশ কোবলা দলিল হাজির করেন। ফলে দখল নিয়ে বিরোধ শুরু হলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উক্ত জমির চাষাবাদ থেকে উভয়পক্ষ সাময়িক বিরত থাকায় জমিটি অদ্যবধি পতিত রয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের আদেশে শৈলকুপা পি: নং ৩১৩/২০১৮ মামলাভুক্ত জমির দখল বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত চাওয়া হয়, যা শৈলকুপা পৌর ভূমি অফিসের ইউএলএও আব্দুস সালামের উপর ন্যস্ত হয়। কৃষক আবুল কাশেম জানান, উক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শন না করে প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত এবং আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে অফিসে বসেই দায়সারা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। উল্লেখিত সরেজমিন প্রতিবেদনে আবুল কাশেম স্বাক্ষর করেন নাই এমনকি তার পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলনা। সরেজমিন স্বাক্ষরসীটে আবুল কাশেমের স্বাক্ষর জাল বলে তিনি দাবি করেছেন। এছাড়া নালিশী জমির চারপাশের কোন মালিককে অবগত কিংবা নোটিশ করা হয়নি। জমিটি পতিত থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা নালিশি জমিতে কলাই বপন আছে এবং ২য় পক্ষ ভোগদখলে আছে মর্মে যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছেন তা সম্পূর্ণ ভূয়া ও বানোয়াট বলেও দাবি করেছেন। উক্ত জমিতে বিগত ২ বছর কোন পক্ষের ভোগ দখল কিংবা কারো কোন ফসলাদিও নেই বলেও তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

No comments

Powered by Blogger.