কালীগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বিপননে কৃষকের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাবৃন্দ মহেশ্বরচাঁদা গ্রামকে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের মডেলে রূপান্তরিত করা হবে
কালীগঞ্জ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বিপননে কৃষকের করণীয় শীর্ষক দিনব্যাপী এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে কার্ড মহিলা সমিতি ও বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের আয়োজনে উপজেলার মহেশ্বরচাঁদা গ্রামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ও বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কে এইচ এম নাজমূল হোসেন নাজির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জিএম অব্দুল রউফ, কুমিল্লা কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান, নিয়ামতপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ রনি লস্কর, মোহনা টিভির প্রতিনিধি সোহেল আহম্মেদ, দৈনিক সমাজের কথার স্টাফ রিপোর্টার ও কালের কণ্ঠ পত্রিকার কালীগঞ্জ প্রতিনিধি নয়ন খন্দকার, প্রধানমন্ত্রী কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষাণী মর্জিনা বেগম, সমিতির সদস্য আশরাফুজ্জামান প্রমুখ। আলোচনা সভায় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ বলেন, ৯০ দশকে কৃষক ওমর আলী ও আয়ুব আলী কৃষকের অধিকার আদায় ও আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম শুরু করেন। তাদের কারণে মহেশ্বরচাঁদা গ্রাম বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ আদর্শ গ্রামে রূপান্তরিত হয়। সে সময় বর্তমান কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এই গ্রামে পদার্পন ঘটে। বর্তমানে ওমর আলীর মেয়ে মর্জিনা বেগম তার পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে ভার্মি কম্পোষ্ট, কেঁচো কম্পোষ্ট, বিষমুক্ত সবজি উৎপাদসহ কৃষির আমূল পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। মর্জিনা আজ বাংলাদেশের কৃষিতে মডেল। কৃষিতে তার ইতিবাচক ও ফলপ্রসু কর্মকা- স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত জানেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথাও বলেছেন। কৃষি কাজে অবদান রাখায় মর্জিনা বেগম প্রধানমন্ত্রী কৃষি পদক অর্জন করেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে তিনি বিদেশেও গেছেন। তাই মহেশ্বরচাঁদা গ্রামকে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের মডেলে রূপান্তরিত করা হবে। আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা কৃষি আন্দোলনের পথ প্রদর্শক ওমর আলীর নামে মহেশ্বরচাঁদায় একটি সড়ক করার প্রস্তার রাখেন।
No comments