ঝিনাইদহের মহেশপুরে এক যুবক অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে জনতার হাতে ধরা

মহেশপুর, ঝিনাইদহ ,প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুশাডাঙ্গা গ্রামের টিটু (২৩) একই উপজেলার এক গৃহবধুকে ভাগিয়ে নিয়ে পার্শবর্তি চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে জনতার হাতে ধরা পড়ায় ঐ মহিলার স্বামী তাকে তালাক দিয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং জনগন শালিস বৈঠকে অবশেষে লম্পট টিটুকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে।

জানা গেছে উপজেলার স্বরুপপুর ইউনিয়নের কুশাডাঙ্গা গ্রামের রুহুল আমিন (রুলু)’র অনার্স পড়ুয়া পুত্র টিটু (২৩) একই উপজেলার ফতেপুর ইউপির একতারপুর গ্রামের আবু তালেবের পুত্র আবু সামার স্ত্রী সোনিয়া (১৯) কে প্রেমের সম্পর্কে খালা বাড়ি থেকে ভাগিয়ে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরে জনতার হাতে ধরা পড়ে।

এঘটনায় স্বামী আবু সামা স্ত্রীর কলঙ্ক মেনে নিতে না পেরে গত ২৯ জুলাই স্বরুপপুর ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্যের উপস্থিতিত্বে তার স্ত্রীকে সে তালাক দেওয়ায় বিচারকদের বিচারে শিক্ষক পরিবার ঐ মেয়ের সাথে ২ আগষ্ট তাদের পুত্র টিটুকে বিবাহ দিয়েছে। মেয়েটি স্বরুপপুর ইউনিয়নের তৈলটুপি পোড়া পাড়া গ্রামের সবুর হোসেন মেয়ে।

জানা যায় মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর ইউনিয়নের তৈলটুপি পোড়া পাড়া গ্রামের সবুর হোসেনের কন্যা সোনিয়া খাতুন (১৯) কে গত এক বছর আগে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামের আবু তালেবের পুত্র আবু সামার সাথে বিবাহ হয়। লম্পট টিটুর বাড়ির পাশে মেয়েটির খালা বাড়ী আশা যাওয়ার সুবাদে দু- জনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কে গত সপ্তাহে লুকোচুরি খেলতে গিয়ে তারা দুজনে চুয়াডাঙ্গা শহরে জনতার হাতে ধরা পড়ে। এব্যাপারে ছেলে রুহুল আমিন রুলু জানান ছেলে যেহেতু ভুল করেছে এবং মেয়েকে তার পছন্দ সেখানে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় কি।

No comments

Powered by Blogger.