দাম না থাকায় কালীগঞ্জের কাঠাল চাষী ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে অনেক পরিবারে গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার
এম, শাহজাহান আলী সাজু ॥
দাম কম হওয়ায় কালীগঞ্জের কাঁঠাল চাষী ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে। চাহিদা কম থাকায় ব্যবসায়ীরা কাঁঠাল ঠিকমত না কেনায় কাঠাল মালিকরা বাজার থেকে অনেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় ফল কাঁঠালের সকল অংশই ব্যবহার্য্য হলেও কম মূল্য হওয়ায় তা এখন অনেক পরিবারে গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
স্বরেজমিনে, শুক্রবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের কলেজ সড়কের কাঁঠাল হাটে গিয়ে দেখা যায় দ‘ুপাশে সারি সারি কাঁঠালের গাড়ি ও স্তুপ। কেনা-বেচায় ব্যাপারী ও ব্যবসায়ীদের আনাগোনা এবং প্রাণ চানচাঞ্চল্য একবারেই কম। দূর-দূরান্ত থেকে আসা কাঁঠাল মালিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট বাহনে তাদের বছর ভিত্তিক মৌসুমী ফল কাঁঠাল বিক্রয় করার জন্য এনেছেন। ওঠানো-নামানো বা স্থানান্তর করা ঝামেলা হওয়ায় কাঁঠাল বেচা-কেনা সাধারনত গাড়ির উপর রেখেই হয়ে থাকে বলে মালিক ও ব্যবসায়রা জানায়।
কাঁঠাল মালিক মোশারফ হোসেন জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সাপ্তাহিক হাটের দিন একটি ভ্যান ভাড়া করে কাঁঠাল বিক্রি করতে এসেছেন। কিন্তু দির্ঘ সময় ভ্যান নিয়ে অপেক্ষা করলেও ব্যাপারী বা অন্য কোন ক্রেতার তেমন আগ্রহ নেই বলে তিনি জানান। যে দাম বলা হয় তাতে গাড়ি ভাড়া, কাঁঠাল গাছ থেকে পাড়া বা অন্যান্য খরচ ওঠে না। একইভাবে তিনি গত তিনটি হাটে এক ভ্যান গাড়ি করে কাঁঠাল এনে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। আবার এক হাটে কিছু কাঁঠাল ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে কেটে গরুর খাদ্য করেছেন বলে জানান। তিনি আরো বলেন, তিনি এবং তার এলাকার অনেকে দাম কম থাকায় অপেক্ষাকৃত ছোট কাঁঠাল বিক্রি না করে গরুর খাদ্য করছেন।
উপজেলার গুটিয়ানী গ্রামের অপর কাঁঠাল চাষী আবু জাফর জানান, কাঁঠাল এখন অবিক্রিত ফলে পরিনত হয়েছে। একটা গাছে অনেক কাঁঠাল ধরে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে এ ফল বিক্রি করা হয়। কিন্তু এই মৌসুমি ফল বাজারে বিক্রি করতে গেলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশী হচ্ছে। তিনি জানান, অত্যন্ত উপকারী এ মোসুমী ফল ও গাছ সর্ব ক্ষেত্রে মূল্যবান এবং ব্যবহার্য্য হওয়ায় তিনি দু‘দশক আগে থেকে পর্যায়ক্রমে এ গাছ লাগাতে থাকেন। অপেক্ষাকৃত পরিতক্ত, নদী, পুকুর, খাল ধারে স্বাভাবিকভাবে কাঁঠাল চাষ হওয়ায় উপজেলা এলাকায় সে সময় থেকে তার মত হাজার হাজার মানুষ কাঁঠাল চাষে ঝুকে পড়ে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মনিরুল হক জানান, প্রায় তিন দশক ধরে তিনি বিভিন্ন ধরনের চারা উৎপাদন ও বিক্রির সাথে জড়িত। এক সময় এলাকায় উৎপাদন কম থাকায় বাজার ও গ্রাম কেন্দ্রিক খুচরা কাঁঠাল বিক্রি হত। দাম ও চাহিদা ছিল ভালো। তাছাড়া কাঁঠাল কাঠ মূল্যবান হওয়ায় চাষিরা এচাষে ঝুকতে থাকে। একই সাথে আম চাষেও বিপ্লব শুরু হয়। বর্তমানে একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ এ দু‘টি মৌসুমী ফল বাজারে আসায় দামে ধস নেমেছে বলে তিনি জানান।
কাঁঠাল ব্যবসায়ী শম্ভু চাঁদ জানান, এবার কাঁঠালের দাম অন্যবারের তুলনায় অনেক কম। দাম ও চাহিদা কম থাকায় ছোট ফলের কেনা বেচা বাজারে নেই। তিনি জানান, বাউফলে পাঠানোর জন্য এক গাড়ি কাঁঠাল কেনছেন। যা সর্ব্বোচ ৪০ থেকে ৫০টাকা দরে কিনছেন। অন্যান্য বছরে এ ধরনের কাঁঠাল এক শত থেকে এক শত পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত কেনা-বেচা হয় বলে তিনি জানান। তবে আমের সরবরাহ কমায় চলতি সপ্তাহ থেকে কাঁঠালের চাহিদা বাড়বে বলে তিনি আশা করছেন।
দাম কম হওয়ায় কালীগঞ্জের কাঁঠাল চাষী ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে। চাহিদা কম থাকায় ব্যবসায়ীরা কাঁঠাল ঠিকমত না কেনায় কাঠাল মালিকরা বাজার থেকে অনেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় ফল কাঁঠালের সকল অংশই ব্যবহার্য্য হলেও কম মূল্য হওয়ায় তা এখন অনেক পরিবারে গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
স্বরেজমিনে, শুক্রবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের কলেজ সড়কের কাঁঠাল হাটে গিয়ে দেখা যায় দ‘ুপাশে সারি সারি কাঁঠালের গাড়ি ও স্তুপ। কেনা-বেচায় ব্যাপারী ও ব্যবসায়ীদের আনাগোনা এবং প্রাণ চানচাঞ্চল্য একবারেই কম। দূর-দূরান্ত থেকে আসা কাঁঠাল মালিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট বাহনে তাদের বছর ভিত্তিক মৌসুমী ফল কাঁঠাল বিক্রয় করার জন্য এনেছেন। ওঠানো-নামানো বা স্থানান্তর করা ঝামেলা হওয়ায় কাঁঠাল বেচা-কেনা সাধারনত গাড়ির উপর রেখেই হয়ে থাকে বলে মালিক ও ব্যবসায়রা জানায়।
কাঁঠাল মালিক মোশারফ হোসেন জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সাপ্তাহিক হাটের দিন একটি ভ্যান ভাড়া করে কাঁঠাল বিক্রি করতে এসেছেন। কিন্তু দির্ঘ সময় ভ্যান নিয়ে অপেক্ষা করলেও ব্যাপারী বা অন্য কোন ক্রেতার তেমন আগ্রহ নেই বলে তিনি জানান। যে দাম বলা হয় তাতে গাড়ি ভাড়া, কাঁঠাল গাছ থেকে পাড়া বা অন্যান্য খরচ ওঠে না। একইভাবে তিনি গত তিনটি হাটে এক ভ্যান গাড়ি করে কাঁঠাল এনে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। আবার এক হাটে কিছু কাঁঠাল ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে কেটে গরুর খাদ্য করেছেন বলে জানান। তিনি আরো বলেন, তিনি এবং তার এলাকার অনেকে দাম কম থাকায় অপেক্ষাকৃত ছোট কাঁঠাল বিক্রি না করে গরুর খাদ্য করছেন।
উপজেলার গুটিয়ানী গ্রামের অপর কাঁঠাল চাষী আবু জাফর জানান, কাঁঠাল এখন অবিক্রিত ফলে পরিনত হয়েছে। একটা গাছে অনেক কাঁঠাল ধরে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে এ ফল বিক্রি করা হয়। কিন্তু এই মৌসুমি ফল বাজারে বিক্রি করতে গেলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশী হচ্ছে। তিনি জানান, অত্যন্ত উপকারী এ মোসুমী ফল ও গাছ সর্ব ক্ষেত্রে মূল্যবান এবং ব্যবহার্য্য হওয়ায় তিনি দু‘দশক আগে থেকে পর্যায়ক্রমে এ গাছ লাগাতে থাকেন। অপেক্ষাকৃত পরিতক্ত, নদী, পুকুর, খাল ধারে স্বাভাবিকভাবে কাঁঠাল চাষ হওয়ায় উপজেলা এলাকায় সে সময় থেকে তার মত হাজার হাজার মানুষ কাঁঠাল চাষে ঝুকে পড়ে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মনিরুল হক জানান, প্রায় তিন দশক ধরে তিনি বিভিন্ন ধরনের চারা উৎপাদন ও বিক্রির সাথে জড়িত। এক সময় এলাকায় উৎপাদন কম থাকায় বাজার ও গ্রাম কেন্দ্রিক খুচরা কাঁঠাল বিক্রি হত। দাম ও চাহিদা ছিল ভালো। তাছাড়া কাঁঠাল কাঠ মূল্যবান হওয়ায় চাষিরা এচাষে ঝুকতে থাকে। একই সাথে আম চাষেও বিপ্লব শুরু হয়। বর্তমানে একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ এ দু‘টি মৌসুমী ফল বাজারে আসায় দামে ধস নেমেছে বলে তিনি জানান।
কাঁঠাল ব্যবসায়ী শম্ভু চাঁদ জানান, এবার কাঁঠালের দাম অন্যবারের তুলনায় অনেক কম। দাম ও চাহিদা কম থাকায় ছোট ফলের কেনা বেচা বাজারে নেই। তিনি জানান, বাউফলে পাঠানোর জন্য এক গাড়ি কাঁঠাল কেনছেন। যা সর্ব্বোচ ৪০ থেকে ৫০টাকা দরে কিনছেন। অন্যান্য বছরে এ ধরনের কাঁঠাল এক শত থেকে এক শত পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত কেনা-বেচা হয় বলে তিনি জানান। তবে আমের সরবরাহ কমায় চলতি সপ্তাহ থেকে কাঁঠালের চাহিদা বাড়বে বলে তিনি আশা করছেন।
No comments