ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কৃষিতে নতুনমাত্রা যোগকরে পদোন্নতি পেয়ে বিদায় নিলেন ড.খান মো: মনিরুজ্জামান

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কৃষিতে নতুনমাত্রা যোগ করে পদোন্নতি পেয়ে বিদায় নিলেন কৃষিবিদ ড. খান মো: মনিরুজ্জামান। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা থেকে মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে তিনি সেখানে যোগদান করেছেন।
কৃষিবিদ ড. খান মো: মনিরুজ্জামানের অক্লান্ত পরিশ্রমে সদর উপজেলা কৃষিতে নিরব বিপ্লব ঘটেছে। তার সকল প্রকার লাগসই ও টেকসহ আধুনিক প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় উপজেলার কৃষককুল জৈব পদ্ধতিতে আবাদ করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। কৃষিক্ষেত্রে তার সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় কয়েকজন কৃষক পেয়েছেন জাতীয় সম্মাননা।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৪ জুলাই মাগুরা হটিকালচার সেন্টার থেকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এরপর থেকেই উপজেলার কৃষিতে অবদান রাখতে শুরু করেন। দিন-রাত উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদান করেছেন। জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে স্বাস্থ্য সম্মত ও নিরাপদ ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করেছেন। এছাড়াও আউশ ধান, ভুট্টাসহ উচ্চমুল্যের ফসল উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন ড. খান। তার দক্ষতা, সততা ও আন্তরিকতার কথা সদর উপজেলাবাসী চিরদিন মনে রাখবে।
দক্ষ সম্প্রসারণবিদ হিসেবে কৃষিতে অসামান্য অবদান রাখায় ড. খান মো: মনিরুজ্জামান পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার। এছাড়াও ২০১৭ সালে খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার পদক, ২০১৫ সালে উপজেলার শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তার সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ড. খান মো: মনিরুজ্জামান বলেন, যে ক’দিন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনায় আমি আমার সহকর্মী উপ-সহকারী কৃষি অফিসার, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, রাজনীতিবিদসহ সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় উপজেলার কৃষকদের নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমি চেষ্টা করেছি পরিবেশবান্ধব টেকসই কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করার। সদর উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে পেয়েছি অফুরন্ত ভালোবাসা। তাদের এই ভালোবাসা আমার আগামী দিনের পথচলাকে সুগম করবে। আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

No comments

Powered by Blogger.