কালীগঞ্জে প্রচন্ড গরম তারপরও জমজমাট ঈদের বাজার
মানিক ঘোষ, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
কয়েক দিন পরেই মহা খুশির ঈদ। এ দিনে সকলে নতুন পোশাক পরে ঈদগাহে যাবে। ফলে সব বয়সী মানুষের নতুন পোশাক চায়। পবিত্র ঈদ ঘিরে তাই মুসলিম পরিবারের উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত পরিবারের অভিভাবকদের বাড়তি প্রস্ততি থাকে নতুন পোশাক কেনাকাটায়। এ কারনে মহা খুশির এ দিনটি যত এগিয়ে আসছে শহর ও গ্রাম এলাকার পোশাকের দোকানগুলোতে বাড়ছে সব বয়সী ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। বর্তমানে দিনের বেলার প্রচন্ড গরমে মানুষের নাভিশ্বাস হলেও যেন তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে ঈদ কেনাকাটা।
শুক্রবার সরেজমিনে শহরের ছোট বড় সব শপিংমলগুলো ঘুরে ক্রেতাদের চরম ভীড় লক্ষ্য করা যায়। শিশু কিশোরেরা বড়দের সাথে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বন্যার পানির মত ধেয়ে আসছে শহরের পোশাকের দোকান গুলোতে। যে কারনে কাপড়ের দোকানগুলোর সামনে কখনও কখনও বেড়ে যাচ্ছে অপেক্ষমান ক্রেতাদের সংখ্যা। এ অবস্থায় ক্রেতাদের পছন্দের টা বেছে দিতে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের হতে হচ্ছে গলদঘর্ম। তারপরও উপায় নেই। তারা মনে করছেন এটা ব্যবসায়ের একটি অংশ।
দেখা যায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো কম বাজেট নিয়ে ঘুরছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে। গ্রামাঞ্চাল থেকে আসা বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষই এখানে ভীড় করায় দিনের বেলায় ফুটপাতের দোকানগুলোর কেনাবেচা থাকছে বেশ জমজমাট। আর সন্ধ্যার পর ফুটপাতের ভীড় কমে যাচ্ছে। উচ্চ মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা বেশ সময় হাতে করে সন্ধ্যার পর ঢুকছেন বড় বড় শপিংমল ও ঐতিহ্যবাহী পোশাকের দোকানগুলোতে।
শহরের সব বিপনি বিতানগুলোতে ভিড় থাকলেও মেইন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মুনসুর প্লাজার দোকানগুলোতে এ বছর ভিড় অনেকটা বেশি। তবে বেশি ভিড় নজরে আসে মামা ভাগ্নে গার্মেন্টস, খন্দকার গার্মেন্টসে। আর ছন্দা মার্কেটে অনুসন্ধান গার্মেন্টসে বেচাকেনা সব সময় জমজমাট, মধুগঞ্জ বাজারের ঐতিহ্যবাহী রিমঝিম গামেন্টস, আলামিন গার্মেন্টস এ্যান্ড বস্ত্রবিতান আর ষ্টার ফ্যাশানে কাষ্টমার কখনও খালি হচ্ছে না। মার্জিত পোশাক বিক্রেতা হিসেবে খ্যাত কনিকা গার্মেন্টস এবং তার পাশেই মায়ের দোয়া গার্মেন্টসের বিক্রি যেন সমানে সমান। এদিকে শহরের আদি কাপুড়ে পট্রি নিমতলা মার্কেটে মাশরাফি বস্ত্রালয়,মুন্সি শাড়ি ঘর আর পিয়াল এন্টারপ্রাইজে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মত।
শহরের কনিকা গার্মেন্টসের সত্তাধিকারী আলহাজ্ব রবিউল ইসলাম রবীন জানান, সারাবছর বেচাকেনার চাপ থাকলেও বছরের দুটি ঈদ এবং দূর্গা পূজায় তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েক গুণ বেশি। এখন সাত সকালে দোকান খুলে বন্ধ করতে হচ্ছে মধ্যরাতেরও পরে। এভাবে চলবে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত। তিনি জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি বেশি হলেও প্রচন্ড গরমে ক্রেতাদের সাথে দোকান মালিক কর্মচারীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
মাশরাফি বস্ত্রালয়ের মালিক বাহাদুর আলম পল্টন জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি বেশি। দোকানের কর্মচারীদের সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ডিউটি করতে হচ্ছে। ফলে তাদেরকে বিশ্রাম দিতে কর্মচারীদের দুই সিপ্টে ভাগ করেছেন। এতে তারা একটু স্বস্থি নিতে পাচ্ছেন।
মায়ের দোয়া গার্মেন্টসের মালিক আবু সাঈদ জানান, গ্রাম অঞ্চলে সব বাজারে দোকান গজিয়ে উঠায় এ বছর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা নিম্নবিত্তদের ভীড় অপেক্ষাকৃত কম। তবে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা পছন্দের পোশাক কিনতে ধেয়ে আসছেন শহররের দোকানগুলোতে। সব মিলিয়ে বিক্রি মোটামুটি ভাল। তিনি জানান,বয়স্ক ও ছোটদের পোশাক দেওয়াটা সহজ হলেও তরুণ তরুণীদের পছন্দের পোশাক মেলাতে একটু বেশি সময় লাগছে।
শহরের ঐতিহ্যবাহী রিমঝিম গার্মেন্টসের সত্বাধিকারী আলাউদ্দীন খান সেন্টু জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও পাকিস্থান, ইন্ডিয়া, চীন, থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের পোশাক খুঁজছেন অভিজাত শ্রেণীর ক্রেতারা। তবে এ বছর তরুণীদের জন্য গাউন, ফ্লোর টার্চ যেন হট কেক হয়ে গেছে। এছাড়াও হাতিকা, বুটিক, জয়পুরি প্রভৃতি নামের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। বয়স্কো মহিলাদের ধুপিয়া কাতান, রাজশাহী সিল্ক, বেনারশি, সেটিং পাটি শাড়ির চাহিদার কমতি নেই। তিনি জানান, ভোর থেকে ক্রেতাদের ভীড় শুরু হচ্ছে চলছে গভীর রাত পর্যন্ত। এ অবস্থায় ঘুমের ঘাটতি পূরণ হচ্ছেনা।
খন্দকার গার্মেন্টসের মালিক মতিউর রহমান পান্নু জানান, বিক্রি সন্তোষজনক। সারাদিন দোকানে থেকে প্রচন্ড গরমে সন্ধ্যার পর সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।
শহরের ভি.আই.পি ফ্যাশানের মালিক রাজিব আহম্মেদ জানান, তিনি ঈদ উপলক্ষে দোকানে শিশুদের পোশাক বেশি তুলেছেন। বিক্রিও ভাল। কিন্ত প্রচন্ড গরমে শিশুদের নিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন ক্রেতারা। তাই সকাল আর সন্ধ্যার পর ঠান্ডা আবহাওয়ায় তার দোকানে বেশি লোক সমাগম থাকছে।
অনুসন্ধ্যান গার্মেন্টসের মালিক বিকাশ রায় জানান, শিশুসহ সব বয়সী পুরুষের পোশাক তিনি বিক্রি করেন। এ বছর দেশী বিদেশী জিন্সের প্যান্ট ছাড়াও ওয়ান পয়েন্ট, ক্যাটস আই, ইজি, একটিভ, জিসটার জিং বিভিন্ন আইটেমের টি শার্ট বেশি চলছে। আর মধ্যবিত্তরা বেশি নিচ্ছেন নবাবের পাঞ্জাবী।
কয়েক দিন পরেই মহা খুশির ঈদ। এ দিনে সকলে নতুন পোশাক পরে ঈদগাহে যাবে। ফলে সব বয়সী মানুষের নতুন পোশাক চায়। পবিত্র ঈদ ঘিরে তাই মুসলিম পরিবারের উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত পরিবারের অভিভাবকদের বাড়তি প্রস্ততি থাকে নতুন পোশাক কেনাকাটায়। এ কারনে মহা খুশির এ দিনটি যত এগিয়ে আসছে শহর ও গ্রাম এলাকার পোশাকের দোকানগুলোতে বাড়ছে সব বয়সী ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। বর্তমানে দিনের বেলার প্রচন্ড গরমে মানুষের নাভিশ্বাস হলেও যেন তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে ঈদ কেনাকাটা।
শুক্রবার সরেজমিনে শহরের ছোট বড় সব শপিংমলগুলো ঘুরে ক্রেতাদের চরম ভীড় লক্ষ্য করা যায়। শিশু কিশোরেরা বড়দের সাথে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বন্যার পানির মত ধেয়ে আসছে শহরের পোশাকের দোকান গুলোতে। যে কারনে কাপড়ের দোকানগুলোর সামনে কখনও কখনও বেড়ে যাচ্ছে অপেক্ষমান ক্রেতাদের সংখ্যা। এ অবস্থায় ক্রেতাদের পছন্দের টা বেছে দিতে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের হতে হচ্ছে গলদঘর্ম। তারপরও উপায় নেই। তারা মনে করছেন এটা ব্যবসায়ের একটি অংশ।
দেখা যায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো কম বাজেট নিয়ে ঘুরছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে। গ্রামাঞ্চাল থেকে আসা বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষই এখানে ভীড় করায় দিনের বেলায় ফুটপাতের দোকানগুলোর কেনাবেচা থাকছে বেশ জমজমাট। আর সন্ধ্যার পর ফুটপাতের ভীড় কমে যাচ্ছে। উচ্চ মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা বেশ সময় হাতে করে সন্ধ্যার পর ঢুকছেন বড় বড় শপিংমল ও ঐতিহ্যবাহী পোশাকের দোকানগুলোতে।
শহরের সব বিপনি বিতানগুলোতে ভিড় থাকলেও মেইন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মুনসুর প্লাজার দোকানগুলোতে এ বছর ভিড় অনেকটা বেশি। তবে বেশি ভিড় নজরে আসে মামা ভাগ্নে গার্মেন্টস, খন্দকার গার্মেন্টসে। আর ছন্দা মার্কেটে অনুসন্ধান গার্মেন্টসে বেচাকেনা সব সময় জমজমাট, মধুগঞ্জ বাজারের ঐতিহ্যবাহী রিমঝিম গামেন্টস, আলামিন গার্মেন্টস এ্যান্ড বস্ত্রবিতান আর ষ্টার ফ্যাশানে কাষ্টমার কখনও খালি হচ্ছে না। মার্জিত পোশাক বিক্রেতা হিসেবে খ্যাত কনিকা গার্মেন্টস এবং তার পাশেই মায়ের দোয়া গার্মেন্টসের বিক্রি যেন সমানে সমান। এদিকে শহরের আদি কাপুড়ে পট্রি নিমতলা মার্কেটে মাশরাফি বস্ত্রালয়,মুন্সি শাড়ি ঘর আর পিয়াল এন্টারপ্রাইজে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মত।
শহরের কনিকা গার্মেন্টসের সত্তাধিকারী আলহাজ্ব রবিউল ইসলাম রবীন জানান, সারাবছর বেচাকেনার চাপ থাকলেও বছরের দুটি ঈদ এবং দূর্গা পূজায় তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েক গুণ বেশি। এখন সাত সকালে দোকান খুলে বন্ধ করতে হচ্ছে মধ্যরাতেরও পরে। এভাবে চলবে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত। তিনি জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি বেশি হলেও প্রচন্ড গরমে ক্রেতাদের সাথে দোকান মালিক কর্মচারীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
মাশরাফি বস্ত্রালয়ের মালিক বাহাদুর আলম পল্টন জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি বেশি। দোকানের কর্মচারীদের সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ডিউটি করতে হচ্ছে। ফলে তাদেরকে বিশ্রাম দিতে কর্মচারীদের দুই সিপ্টে ভাগ করেছেন। এতে তারা একটু স্বস্থি নিতে পাচ্ছেন।
মায়ের দোয়া গার্মেন্টসের মালিক আবু সাঈদ জানান, গ্রাম অঞ্চলে সব বাজারে দোকান গজিয়ে উঠায় এ বছর প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা নিম্নবিত্তদের ভীড় অপেক্ষাকৃত কম। তবে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা পছন্দের পোশাক কিনতে ধেয়ে আসছেন শহররের দোকানগুলোতে। সব মিলিয়ে বিক্রি মোটামুটি ভাল। তিনি জানান,বয়স্ক ও ছোটদের পোশাক দেওয়াটা সহজ হলেও তরুণ তরুণীদের পছন্দের পোশাক মেলাতে একটু বেশি সময় লাগছে।
শহরের ঐতিহ্যবাহী রিমঝিম গার্মেন্টসের সত্বাধিকারী আলাউদ্দীন খান সেন্টু জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও পাকিস্থান, ইন্ডিয়া, চীন, থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের পোশাক খুঁজছেন অভিজাত শ্রেণীর ক্রেতারা। তবে এ বছর তরুণীদের জন্য গাউন, ফ্লোর টার্চ যেন হট কেক হয়ে গেছে। এছাড়াও হাতিকা, বুটিক, জয়পুরি প্রভৃতি নামের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। বয়স্কো মহিলাদের ধুপিয়া কাতান, রাজশাহী সিল্ক, বেনারশি, সেটিং পাটি শাড়ির চাহিদার কমতি নেই। তিনি জানান, ভোর থেকে ক্রেতাদের ভীড় শুরু হচ্ছে চলছে গভীর রাত পর্যন্ত। এ অবস্থায় ঘুমের ঘাটতি পূরণ হচ্ছেনা।
খন্দকার গার্মেন্টসের মালিক মতিউর রহমান পান্নু জানান, বিক্রি সন্তোষজনক। সারাদিন দোকানে থেকে প্রচন্ড গরমে সন্ধ্যার পর সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।
শহরের ভি.আই.পি ফ্যাশানের মালিক রাজিব আহম্মেদ জানান, তিনি ঈদ উপলক্ষে দোকানে শিশুদের পোশাক বেশি তুলেছেন। বিক্রিও ভাল। কিন্ত প্রচন্ড গরমে শিশুদের নিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন ক্রেতারা। তাই সকাল আর সন্ধ্যার পর ঠান্ডা আবহাওয়ায় তার দোকানে বেশি লোক সমাগম থাকছে।
অনুসন্ধ্যান গার্মেন্টসের মালিক বিকাশ রায় জানান, শিশুসহ সব বয়সী পুরুষের পোশাক তিনি বিক্রি করেন। এ বছর দেশী বিদেশী জিন্সের প্যান্ট ছাড়াও ওয়ান পয়েন্ট, ক্যাটস আই, ইজি, একটিভ, জিসটার জিং বিভিন্ন আইটেমের টি শার্ট বেশি চলছে। আর মধ্যবিত্তরা বেশি নিচ্ছেন নবাবের পাঞ্জাবী।
No comments