ঈদ আনন্দ উপভোগে করতে নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট এন্ড পিকনিক স্পটে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
মানিক ঘোষ, স্টাফ রিপোর্টার:
ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের তৈলকূপীর নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট নামে এই বিনোদন কেন্দ্রে এখন দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের আনন্দকে আরো বেশি স্মরণীয় করে রাখতে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও মেতে উঠেছে আনন্দের জোয়ারে।
রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ সদরের নলডাঙ্গা বাজারের দক্ষিন পাশে গড়ে উঠা নলডাঙ্গা এলাকার অত্যাধুনিক ও দৃষ্টি নন্দন বিনোদন কেন্দ্র নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট (এনআরবি)ও পাতা মিয়ার পার্ক নামে পরিচিত।
ছোট থেকে বড় সাবই যেন মেতে উঠেছে ঈদ আনন্দ উচ্ছ্বাসে। আশপাশে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় সমৃদ্ধ ও ঐতিহাসিক জেলা ঝিনাইদহ বরাবরই ছিল পিছিয়ে। বিনোদন পিপাসীদের যেতে হতো ঢাকাসহ দূর দূরান্তে। তাই আধুনিক ও দৃষ্টি নন্দন এই বিনোদনের ক্ষেত্র তৈরী হওয়ার সমৃদ্ধশীলও ইতিহাসের পাতায় অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান আছে এই জেলায় এবং এর সাথে যোগ হলো নতুন মাত্রা।
সরকারীভাবে এখানে কোনো বিনোদন পার্ক গড়ে না উঠলেও আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠেছে নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট (এনআরবি) পার্ক। ঈদ উপলক্ষে আধুনিক সব রাইডসের পাশাপাশি মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে স্ব-পরিবারে সময় কাটাতে পার্কে এসেছে হাজারো বিনোদন পিয়াসু।
জানা যায়, ২০০৯ সালের আনুষ্ঠানিক ভাবে পার্কটি চালু করা হয়। ছোট-বড় সবার জন্যই আলাদা সব রাইড রয়েছে। ২৫ একর জমির উপর নির্মিত এই পার্কে রয়েছে মায়াবীস্পট, কৃত্রিম অভয়ারন্য, ডুপ্লেক্স কটেজ, পার্কে শিশু কিশোরদের জন্য একাধিক রাইডস, সুবিশাল লেক, হংসরাজ প্যাডেল বোট, ওয়াটার পার্ক, পাহাড় সহ বিভিন্ন রকমের মুর্তি। মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ বেষ্টিত নয়নাভিরাম, রকিং হর্স, ব্যক্তি প্রদত্ত নিরাপত্তা কর্মীর তত্ত্বাবধানে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশ।
যশোরের মনিরামপুর থেকে আসা সানোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, পরিবার নিয়ে এসে মফস্বল শহরের নির্জন পরিবেশ ভিন্ন সাধ ও অত্যাধুনিক রাইডে চড়ে ঈদের আনন্দ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে এখানে যে রাইডগুলি আছে যা আমাদের মধ্যবিত্তদের সাধ্যের নাগালেই আছে। এখানে অতি কম খরচে পরিবার নিয়ে বিনোদন উপভোগ করা যায়। এখানে প্রতি টিকিট ৩০ টাকা এবং ৫০ টাকার টিকিটে ২ টা রাইডস ফ্রি এ কারনে কম খরচে পরিবারকে নিয়ে এক সাথে নিয়ে ঘুরতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।
কথা হয় ঝিনাইদহের হরিনাকূন্ডু থেকে আসা শান্ত মল্লিকের এর সাথে। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি পেয়ে পরিবারে নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট (এনআরবি) পার্কে এসে অন্যদের মত আমরাও ঈদ আনন্দ উপভোগ করছি। পরিবারকে নিয়ে এক সাথে ঘুরা অন্য রকম মজা। পার্কটি আমাদের কাছে খুবই ভাল লেগেছে। আগামীতে আবার আসব চিন্তা করছি।
নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট (এনআরবি) এর এম ডি ইমদাদুল হক সোহাগ বলেন,২০০৯ সালে ২৫ একর জমির উপর আনুষ্ঠানিক ভাবে পার্কটি চালু করা হয়। তবে বাণিজ্যিক ভাবে মুনাফা অর্জন করা আমার লক্ষ নয়।
শিশুদের নির্মল আনন্দ দেয়ার জন্যই এই পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। আমি চেষ্টা করছি এই নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট (এনআরবি) পার্ককে আন্তর্জাতিক মানের পার্ক করার। বিভিন্ন রকমের রাইডের ব্যবস্থার পাশাপাশি দর্শনার্থীর জন্য একটু প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরাঘুরির জন্য নতুন একটি সাফারি পার্ক করার পরিকল্পনা আমার আছে। আমি আশা করি কোনো দর্শনার্থী এখানে এসে নিরাশ হবে না। আমি সাধ্য মত চেষ্টা করছি দর্শনার্থীদের সকল কিছু এসে যেন এক সাথে পায়।
দর্শনার্থীর নিরাপত্তার চিন্তা করে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও সরকার প্রদত্ত নিরাপত্তা কর্মীর তত্ত্বাবধানে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার কথাও আমার মাথায় আছে। তবে শিশু ও কিশোরদের পাশাপাশি বিনোদন পিয়াসী সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের আনন্দের খোরাক যোগাবে এই পার্ক এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের তৈলকূপীর নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট নামে এই বিনোদন কেন্দ্রে এখন দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের আনন্দকে আরো বেশি স্মরণীয় করে রাখতে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও মেতে উঠেছে আনন্দের জোয়ারে।
রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ সদরের নলডাঙ্গা বাজারের দক্ষিন পাশে গড়ে উঠা নলডাঙ্গা এলাকার অত্যাধুনিক ও দৃষ্টি নন্দন বিনোদন কেন্দ্র নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট (এনআরবি)ও পাতা মিয়ার পার্ক নামে পরিচিত।
ছোট থেকে বড় সাবই যেন মেতে উঠেছে ঈদ আনন্দ উচ্ছ্বাসে। আশপাশে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় সমৃদ্ধ ও ঐতিহাসিক জেলা ঝিনাইদহ বরাবরই ছিল পিছিয়ে। বিনোদন পিপাসীদের যেতে হতো ঢাকাসহ দূর দূরান্তে। তাই আধুনিক ও দৃষ্টি নন্দন এই বিনোদনের ক্ষেত্র তৈরী হওয়ার সমৃদ্ধশীলও ইতিহাসের পাতায় অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান আছে এই জেলায় এবং এর সাথে যোগ হলো নতুন মাত্রা।
সরকারীভাবে এখানে কোনো বিনোদন পার্ক গড়ে না উঠলেও আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠেছে নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট (এনআরবি) পার্ক। ঈদ উপলক্ষে আধুনিক সব রাইডসের পাশাপাশি মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে স্ব-পরিবারে সময় কাটাতে পার্কে এসেছে হাজারো বিনোদন পিয়াসু।
জানা যায়, ২০০৯ সালের আনুষ্ঠানিক ভাবে পার্কটি চালু করা হয়। ছোট-বড় সবার জন্যই আলাদা সব রাইড রয়েছে। ২৫ একর জমির উপর নির্মিত এই পার্কে রয়েছে মায়াবীস্পট, কৃত্রিম অভয়ারন্য, ডুপ্লেক্স কটেজ, পার্কে শিশু কিশোরদের জন্য একাধিক রাইডস, সুবিশাল লেক, হংসরাজ প্যাডেল বোট, ওয়াটার পার্ক, পাহাড় সহ বিভিন্ন রকমের মুর্তি। মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ বেষ্টিত নয়নাভিরাম, রকিং হর্স, ব্যক্তি প্রদত্ত নিরাপত্তা কর্মীর তত্ত্বাবধানে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশ।
যশোরের মনিরামপুর থেকে আসা সানোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, পরিবার নিয়ে এসে মফস্বল শহরের নির্জন পরিবেশ ভিন্ন সাধ ও অত্যাধুনিক রাইডে চড়ে ঈদের আনন্দ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে এখানে যে রাইডগুলি আছে যা আমাদের মধ্যবিত্তদের সাধ্যের নাগালেই আছে। এখানে অতি কম খরচে পরিবার নিয়ে বিনোদন উপভোগ করা যায়। এখানে প্রতি টিকিট ৩০ টাকা এবং ৫০ টাকার টিকিটে ২ টা রাইডস ফ্রি এ কারনে কম খরচে পরিবারকে নিয়ে এক সাথে নিয়ে ঘুরতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।
কথা হয় ঝিনাইদহের হরিনাকূন্ডু থেকে আসা শান্ত মল্লিকের এর সাথে। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি পেয়ে পরিবারে নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট (এনআরবি) পার্কে এসে অন্যদের মত আমরাও ঈদ আনন্দ উপভোগ করছি। পরিবারকে নিয়ে এক সাথে ঘুরা অন্য রকম মজা। পার্কটি আমাদের কাছে খুবই ভাল লেগেছে। আগামীতে আবার আসব চিন্তা করছি।
নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট (এনআরবি) এর এম ডি ইমদাদুল হক সোহাগ বলেন,২০০৯ সালে ২৫ একর জমির উপর আনুষ্ঠানিক ভাবে পার্কটি চালু করা হয়। তবে বাণিজ্যিক ভাবে মুনাফা অর্জন করা আমার লক্ষ নয়।
শিশুদের নির্মল আনন্দ দেয়ার জন্যই এই পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। আমি চেষ্টা করছি এই নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট (এনআরবি) পার্ককে আন্তর্জাতিক মানের পার্ক করার। বিভিন্ন রকমের রাইডের ব্যবস্থার পাশাপাশি দর্শনার্থীর জন্য একটু প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরাঘুরির জন্য নতুন একটি সাফারি পার্ক করার পরিকল্পনা আমার আছে। আমি আশা করি কোনো দর্শনার্থী এখানে এসে নিরাশ হবে না। আমি সাধ্য মত চেষ্টা করছি দর্শনার্থীদের সকল কিছু এসে যেন এক সাথে পায়।
দর্শনার্থীর নিরাপত্তার চিন্তা করে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও সরকার প্রদত্ত নিরাপত্তা কর্মীর তত্ত্বাবধানে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার কথাও আমার মাথায় আছে। তবে শিশু ও কিশোরদের পাশাপাশি বিনোদন পিয়াসী সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের আনন্দের খোরাক যোগাবে এই পার্ক এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
No comments