গায়ে হাত লাগায় রোগী দেখলেন না ডাক্তার!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
গায়ে হাত লাগায় মুমূর্ষ রোগিকে চিকিৎসা দিলেন না ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: ফাল্গুনী সাহা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর হাসপাতালের জাংরী বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের কাঞ্চননগর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের ছেলে সোহানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলিতে তোলা হয়। হাসপাতালে ভীড় থাকায় রোগির এক স্বজন দ্রুত ট্রলি নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে সরিয়ে দেয়। এসময় রোগির স্বজনের হাত জরুরী বিভাগের দ্বায়িত্বরত ডা: ফাল্গুনী সাহার গায়ে লাগলে তিনি চিৎকার শুরু করেন।
তিনি বলেন, "এই রোগীর চিকিৎসা করা হবে না। এরা আমার গায়ে হাত দিয়েছে। ঐ রোগী যদি মারা যায় যাক, তাতে আমার নামে মামলা হলেও কিছু আসে যায় না। ওকে কেউ চিকিৎসা করবে না।" এই বলে তার নিজ কক্ষ ১২০ রুমে চলে যায়।
এই কথা শুনে রোগির স্বজনরা কড়জোর করে ডাক্তারের কাছে বার বার ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবুও তিনি চিকিৎসা করেননি।
এ ব্যাপারে রোগির স্বজন বলেন, দ্রুত ট্রলিটি অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি সবাইকে সরিয়ে দিচ্ছিলাম। এদের মধ্যে চিকিৎসক আছেন তা বোঝা যাচ্ছিল না। কারণ তার গায়ে ডাক্তারের কোন পোশাক ছিল না। এরপরও আমার ভূল হয়েছে বলে তার কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়েছি। তবুও তিনি চিকিৎসা করেন নি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডাঃ ফাল্গুনী সাহা বলেন, যা করেছি তাহা ঠিক করেছি। আমাকে একজন রেপ করবে আর আপনারা তাকে কিছু বলবেন না।
এই ঘটনা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আইয়ুব আলী বলেন, আমি ঘটনাটা জানিনা। একজন ডাক্তার এমন করতে পারে না। এইটি কাম্য না। আমি বিষয়টা দেখছি।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত চিকিৎসক ফাল্গুনী সাহা’র বিরুদ্ধে রোগিদের সাথে তিনি খারাপ আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তিনি হাসপাতালে দ্বায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে রোগি দেখেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত ডা: ফাল্গুনী সাহা’র শাস্তি দাবি করেছেন ঝিনাইদহের সচেতন মহল।



No comments

Powered by Blogger.