বন্ধ হোক বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড
গত পাঁচ দিনে র্যাব ও পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধ নাটকে ১৩ জন নিহত। বেশির ভাগই মাদক ব্যবসায়ী।
অপরাধীদের শাস্তি আমরা সবাই চাই। কিন্তু এভাবে কেন?
বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে বন্দুকযুদ্ধের কথিত নাটকের মাধ্যমে হত্যা করা!
তাহলে দেশে জেলখানা, আইন-আদালত, বিচারক আছে কি জন্য? না তাদের প্রতিও আস্থা নেয় সরকারের!
যদি বিচার বিভাগের প্রতি আস্থাহীনতার জন্য ক্রসফায়ার আর বন্দুকযুদ্ধের নাটক হয় তাহলে সে নাটক বিচার বিভাগের দুর্নীতিবাজদের থেকে শুরু হয় না কেন?
আজ মাদক ব্যাবসায়ীকে হত্যা করা হচ্ছে, এর আগে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, তারও আগে সন্ত্রাসীদের ক্রস ফায়ার দেওয়া হতো প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এমন অনেককে হত্যা করা হয়েছে যাদের অপরাধ প্রমাণিত হলেও তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতো না। আবার অনেক নিরপরাধ ব্যক্তি কারও প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছেন।
আবার রাজনৈতিক সংগঠনগুলো নিজেদের কর্মীদের কেউ এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হলে যে পরিমাণ সোচ্চার হন, অন্যদের বেলায় তার বিপরীত। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অবস্থাও খুব বেশি ব্যতিক্রম নয়।
এ ধরনের ঘটনা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য মোটেই শুভকর নয়। একমাত্র সরকারি দলই পারে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে। বিচার বহির্ভূত আর কোন হত্যাকাণ্ড আমরা আর দেখতে চাই না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক, বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাক এটাই আমাদের কামনা।
উপসম্পাদকীয় ||
No comments