হাউ টু উইন হার্ট? (পার্ট-১): নাজমুল হাসান (রাজীব)
ডিএমসি :
হাউ টু উইন হার্ট? কিভাবে একজন মনুষের হৃদয় জয় করবেন? কিভাবে তার হৃদয়ে আপনার জন্য জায়গা করে নিবেন? জেনে নিন হৃদয় জয়ের তিন কৌশল।
এক.
আপনি সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না? আকর্ষণীয় করে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন না? নো প্রবলেম। কথা বলার প্রয়োজন নেই। শ্রোতা হয়ে যান।
ধরুন আপনি তিন জন লোককে আলাদাভাবে আপনার জীবনের একটি ঘটনা শুনাচ্ছেন।
প্রথমজন আপনার কথা বলার মাঝখানে বারবার বাধা দিচ্ছে। আরে ভাই এরকম ঘটনা তো আমার জীবনেও ঘটেছিল। একদম হুবহু এই রকম। এই ধরনের কথা বলে বিরক্তি সৃষ্টি করছে।
দ্বিতীয়জন আপনার কথা বলার সময় মোবাইলে গেমস খেলছে, ফেসবুক চালাচ্ছে। আপনার গল্পের দিকে তার কোন মনোযোগ নেই।
তৃতীয়জন গভীর মনোযোগ নিয়ে আপনার গল্প শুনছে। আগ্রহভরে প্রশ্ন করছে। পরের ঘটনা জানতে চাচ্ছে।
এই তিনজনের মধ্যে কার সাথে আপনার কথা বলতে ভাল লাগবে? কাকে আপনি বেশি পছন্দ করবেন? অবশ্যই তৃতীয়জন।
তাই আপনার শ্রবণশিল্প কাজে লাগান। বিশেষ করে মুরব্বিরা গল্প করার লোক পায় না। তাদের গল্পের মনোযোগী শ্রোতা হয়ে যান। জানি এ গল্প আপনার ভাল লাগবে না। অভিনয় করুন। মনে রাখবেন, আপনি হৃদয় জয় করার যুদ্ধে নেমেছেন। ময়দানের যুদ্ধে অস্ত্র লাগে। আর এ যুদ্ধে আপনার অস্ত্র হবে অভিনয়। যুদ্ধ জয়ের মতই আপনাকে ইফোর্ট দিতে হবে। শুনে যান তাদের গল্প। আপনার জন্য তাদের হৃদয়ের তালা খুলে যাবে। তাদের ভালবাসা পেয়ে যাবেন সহজেই।
দুই.
মুহাজিররা যখন হিজরত করে মদীনাতে আসল তখন প্রয়োজন ছিল আনসারদের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখা। তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা। তাদের হৃদয় জয় করা। রাসুল সাঃ তাদেরকে আনসারদের হৃদয় জয় করার কৌশল শিখিয়ে দিলেন। বললেন, তোমরা তোমাদের ভাইদেরকে খাওয়াও আর বেশি বেশি সালাম দাও।
আজ থেকে এই কৌশল আপনার জীবনে প্রয়োগ করে দেখুন। বন্ধুদেরকে খাওয়ান। সালাম দিন বেশি বেশি। মানুষের ভালবাসা পাবেন। পছন্দ করবে মানুষ আপনাকে।
তিন.
নিজের ভাল দিকগুলো বলতে সবাই আনন্দ পায়। ঠিক বিপরীতে দুর্বলতার কথা কেউ আলোচনা করে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে না।
ধরুন আপনার কোন বন্ধু পরীক্ষাতে রেসাল্ট খারাপ করেছে। তাকে বারবার পরীক্ষার কথা জিজ্ঞেস করে লজ্জায় ফেলবেন না। কেন রেসাল্ট খারাপ হল? নাকি আসলেই পরীক্ষা খারাপ দিয়েছ! এসব জানার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি আপনার বন্ধুর রেসাল্টের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। বিশেষ করে কোন অনুষ্ঠানে বা লোকজনের সামনে তো অবশ্যই এড়িয়ে যাওয়া উত্তম।
আপনার বন্ধুর বোনের নতুন যে মেয়েটা হয়েছে তার কথা জিজ্ঞেস করুন। দেখতে দারুন হয়েছে..প্রশংসা করুন। মামা হতে পেরে আনন্দিত হবে সে। দেখবেন আপনার সঙ্গ তার ভাললাগবে। আপনাকে ভালবাসবে সে।
.................. ............ ................
সারাংশ:
১. মনোযোগী শ্রোতা হন।
২. খাওয়ান, সালাম দিন।
৩. কারও দুর্বল নয়, সবল দিক নিয়ে আলোচনা করুন।
.................. ............ ................
সারাংশ:
১. মনোযোগী শ্রোতা হন।
২. খাওয়ান, সালাম দিন।
৩. কারও দুর্বল নয়, সবল দিক নিয়ে আলোচনা করুন।
No comments