নেদারল্যান্ডের সুগন্ধি লিলিয়াম ফুলের বাণিজ্যিক চাষ এখন কালীগঞ্জ
সাঈদুর রহমান.সংবাদদাতা.কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ)
নেদারল্যান্ডের সুগন্ধি লিলিয়াম ফুলের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায়। কৃষক টিপু সুলতানের দাবি বাংলাদেশে এটাই প্রথম বাণিজ্যিক চাষ।উপজেলার ছোট ঘিঘাটি গ্রামে ৪ বিঘা জমিতে এই চাষ শুরু করেছেন ফুল চাষী টিপু সুলতান ও নুর মোহাম্মদ।এছাড়াও তারা গাজিপুরে আরো ২ বিঘা জমিতে এই লিলিয়াম ফুলের চাষ করেছেন।৬ বিঘা জমি থেকে আগামী ৩ মাসে তারা ১ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। প্রতি পিস বা একটি লিলিয়াম ফুলের গাছ বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। ভিনদেশী এই ফুল বাংলাদেশে প্রথম চাষ হওয়ায় বেশ আগ্রহ ফুলপ্রেমিদের। প্রতিদিন ফুলক্ষেত দেখতে আসছেন দুর দরন্ত থেকে মানুষ।
লিলিয়াম ফুল চাষী কালীগঞ্জের বড়ঘিঘাটি গ্রামের টিপু সুলতান জানান, ২০১৭ নভেম্বরে ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ড থেকে ৬৩ হাজার বীজ সংগ্রহ করা হয়। শুধু বীজ আনতে খরচ হয় প্রায় ৪২ লাখ টাকা। এরপর ডিসেম্বরে প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৪ বিঘা এবং গাজিপুরে ২ বিঘা জমি এই বীজ বপন করি। রোপনের প্রায় দুই মাস পর ফুল আসা শুরু করেছে। জমির ছাউনিতে ব্যবহার করা হয়েছে বেলজিয়াম থেকে আনা বিশেষ ধরনে নেট। ইতিমধ্যে নেদারল্যান্ড থেকে একজন কৃষক এসে লিলিয়াম চাষের বিভিন্ন কলা-কৌশল দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।
টিপু সুলতান আরো জানান, বীজ রোপন, ক্ষেতের চারপাশে বাশেঁর বেড়া স্থাপন, উপরের ছাউনি, সার ওষুধ ও শ্রমিক খরচসহ এ পর্যন্ত৪৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই ফুল পরিচর্যা করার জন্য নিয়মিত চারজন শ্রমিক কাজ করে।তিনি আশা করছেন তিন মাস মেয়াদী এই ফুল থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা আয় হবে।
ফুল চাষী টিপু বলেন, আমরা অনেকটা ঝুকি নিয়েই এই ফুলের চাষ শুরু করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রথমবারেই আশানুরুপ লাভ হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি লিলিয়াম ফুলের স্টিক বিক্রি শুরু করেছেন।বাংলাদেশে চাষ হওয়া এই ফুলে সাদা, গোলাপি, হালকা গোলাপী রঙের লিলিয়াম ফুটেছে। প্রতিটি গাছে ৩ থেকে ৫টি ফুল হয়। আর এই প্রতিটি গাছকেই একটি ষ্টিক বলা হয়।গাছে কড়ি থেকে ফুল ফোটার আগেই সংগ্রহ করা হয়। এরপর বাজারে সরবরাহ করা হয়। বাজারে নেওয়ার পর ফুল ফোটে। জমি থেকে তোলার পর একটি ফুল ২০ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত তাজা থাকে এবং ঘরে সুগন্ধ ছড়াই।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, লিলিয়াম ফুলের আদি নিবাস নেদারল্যান্ড। সাদা, গোলাপি, হালকা গোলাপী কমলা, হলুদ, এবং লালসহ ৮ টি রঙের হয়ে থাকে। লিলিয়াম ফুলের গাছ ২ থেকে ৫ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এই ফুল শীত প্রধান দেশে হয়ে থাকে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে হাতেগোনা কয়েকটি জেলাতে এই ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। তবে বীজ সংরক্ষণের সমস্যার কারণে সেখানেও এই ফুল চাষের স¤প্রসারণ তেমনটা হয়নি।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, ২০০৮ সালে আমি নিজে যশোরের গদখালীতে ১০ কাঠা জমিতে চাষ করেছিলাম। সে সময় প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে বীজ সংগ্রহ করেছিলাম। ভারতের কৃষি বিভাগ লিলিয়ামের বীজগুলো এনেছিল নেদারল্যান্ড থেকে। বাংলাদেশে প্রথম আমার হাত দিয়েই লিলিয়াম ফুলের চাষ শুরু হয়। তবে জমি থেকে বীজ সংগ্রহের পদ্ধতি জানা না থাকায় পরবর্তিতে আর এই ফুলের চাষ করা সম্ভব হয়নি।কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল করিম জানান, কালীগঞ্জে লিলিয়াম ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। এটি লাভজনক চাষ। একটি গাছ বা স্টিক ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি করা যায়। কালীগঞ্জে ৪ বিঘা জমিতে প্রায় ৪০ হাজার লিলিয়াম গাছ লাগানো হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে কৃষককে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হার্টি কালচার উইং এর অতিরিক্ত পরিচালক শাহ মোহাম্মদ আকরামুল হক জানান, লিলিয়াম ফুলের চাষ দেশে এর আগেও হয়েছে। তবে সেটা ছিল পরীক্ষামূলক চাষ। এবারই প্রথম বানিজ্যিকভাবে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও গাজিপুরের কয়েকজন কৃষক চাষ করেছেন। তিনি আরো জানান, বিদেশী জাতের এই ফুল লিলিয়ামের বীজ সংগ্রহের দুঃপ্রাপ্যতা এবং গরম আবহাওয়ার কারণে এই ফুলের চাষ সম্প্রাসরণ করা সম্ভব হচ্ছে।
নেদারল্যান্ডের সুগন্ধি লিলিয়াম ফুলের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায়। কৃষক টিপু সুলতানের দাবি বাংলাদেশে এটাই প্রথম বাণিজ্যিক চাষ।উপজেলার ছোট ঘিঘাটি গ্রামে ৪ বিঘা জমিতে এই চাষ শুরু করেছেন ফুল চাষী টিপু সুলতান ও নুর মোহাম্মদ।এছাড়াও তারা গাজিপুরে আরো ২ বিঘা জমিতে এই লিলিয়াম ফুলের চাষ করেছেন।৬ বিঘা জমি থেকে আগামী ৩ মাসে তারা ১ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। প্রতি পিস বা একটি লিলিয়াম ফুলের গাছ বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। ভিনদেশী এই ফুল বাংলাদেশে প্রথম চাষ হওয়ায় বেশ আগ্রহ ফুলপ্রেমিদের। প্রতিদিন ফুলক্ষেত দেখতে আসছেন দুর দরন্ত থেকে মানুষ।
লিলিয়াম ফুল চাষী কালীগঞ্জের বড়ঘিঘাটি গ্রামের টিপু সুলতান জানান, ২০১৭ নভেম্বরে ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ড থেকে ৬৩ হাজার বীজ সংগ্রহ করা হয়। শুধু বীজ আনতে খরচ হয় প্রায় ৪২ লাখ টাকা। এরপর ডিসেম্বরে প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৪ বিঘা এবং গাজিপুরে ২ বিঘা জমি এই বীজ বপন করি। রোপনের প্রায় দুই মাস পর ফুল আসা শুরু করেছে। জমির ছাউনিতে ব্যবহার করা হয়েছে বেলজিয়াম থেকে আনা বিশেষ ধরনে নেট। ইতিমধ্যে নেদারল্যান্ড থেকে একজন কৃষক এসে লিলিয়াম চাষের বিভিন্ন কলা-কৌশল দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।
টিপু সুলতান আরো জানান, বীজ রোপন, ক্ষেতের চারপাশে বাশেঁর বেড়া স্থাপন, উপরের ছাউনি, সার ওষুধ ও শ্রমিক খরচসহ এ পর্যন্ত৪৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই ফুল পরিচর্যা করার জন্য নিয়মিত চারজন শ্রমিক কাজ করে।তিনি আশা করছেন তিন মাস মেয়াদী এই ফুল থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা আয় হবে।
ফুল চাষী টিপু বলেন, আমরা অনেকটা ঝুকি নিয়েই এই ফুলের চাষ শুরু করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রথমবারেই আশানুরুপ লাভ হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি লিলিয়াম ফুলের স্টিক বিক্রি শুরু করেছেন।বাংলাদেশে চাষ হওয়া এই ফুলে সাদা, গোলাপি, হালকা গোলাপী রঙের লিলিয়াম ফুটেছে। প্রতিটি গাছে ৩ থেকে ৫টি ফুল হয়। আর এই প্রতিটি গাছকেই একটি ষ্টিক বলা হয়।গাছে কড়ি থেকে ফুল ফোটার আগেই সংগ্রহ করা হয়। এরপর বাজারে সরবরাহ করা হয়। বাজারে নেওয়ার পর ফুল ফোটে। জমি থেকে তোলার পর একটি ফুল ২০ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত তাজা থাকে এবং ঘরে সুগন্ধ ছড়াই।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, লিলিয়াম ফুলের আদি নিবাস নেদারল্যান্ড। সাদা, গোলাপি, হালকা গোলাপী কমলা, হলুদ, এবং লালসহ ৮ টি রঙের হয়ে থাকে। লিলিয়াম ফুলের গাছ ২ থেকে ৫ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এই ফুল শীত প্রধান দেশে হয়ে থাকে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে হাতেগোনা কয়েকটি জেলাতে এই ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। তবে বীজ সংরক্ষণের সমস্যার কারণে সেখানেও এই ফুল চাষের স¤প্রসারণ তেমনটা হয়নি।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, ২০০৮ সালে আমি নিজে যশোরের গদখালীতে ১০ কাঠা জমিতে চাষ করেছিলাম। সে সময় প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে বীজ সংগ্রহ করেছিলাম। ভারতের কৃষি বিভাগ লিলিয়ামের বীজগুলো এনেছিল নেদারল্যান্ড থেকে। বাংলাদেশে প্রথম আমার হাত দিয়েই লিলিয়াম ফুলের চাষ শুরু হয়। তবে জমি থেকে বীজ সংগ্রহের পদ্ধতি জানা না থাকায় পরবর্তিতে আর এই ফুলের চাষ করা সম্ভব হয়নি।কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল করিম জানান, কালীগঞ্জে লিলিয়াম ফুলের চাষ শুরু হয়েছে। এটি লাভজনক চাষ। একটি গাছ বা স্টিক ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি করা যায়। কালীগঞ্জে ৪ বিঘা জমিতে প্রায় ৪০ হাজার লিলিয়াম গাছ লাগানো হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে কৃষককে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হার্টি কালচার উইং এর অতিরিক্ত পরিচালক শাহ মোহাম্মদ আকরামুল হক জানান, লিলিয়াম ফুলের চাষ দেশে এর আগেও হয়েছে। তবে সেটা ছিল পরীক্ষামূলক চাষ। এবারই প্রথম বানিজ্যিকভাবে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও গাজিপুরের কয়েকজন কৃষক চাষ করেছেন। তিনি আরো জানান, বিদেশী জাতের এই ফুল লিলিয়ামের বীজ সংগ্রহের দুঃপ্রাপ্যতা এবং গরম আবহাওয়ার কারণে এই ফুলের চাষ সম্প্রাসরণ করা সম্ভব হচ্ছে।
No comments