কালীগঞ্জে বানিজ্যিকভাবে আম চাষে ভাগ্য ঘুরাতে চায় আলমগীর

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) চিত্রা নিউজ ॥
বিদেশ থেকে ফিরে এসে আমের বাগান থেকে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন ঘটাতে চায় আলমগীর করিব। সে কালীগঞ্জ উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামে ছেড়ে সৌদিতে প্রায় ১৮ বছর চাকরি করেছে। দেড় যুগ বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে এসে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এলাকায় আম চাষের কার্যক্রম বেছে নেয় ।
আলমগীর কবির জানায়, তার সংগ্রামের কথা,লেখাপড়ায় সে ভাল ছিল না যে কারনে বিদেশ গিয়ে অনেক টাকার মালিক হবে এ আশায় সে সৌদিতে চাকরি করতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে সে তেমন কিছু করতে পারেনি। প্রায় ১৮ বছর পর ২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসে বাড়ি ফিরে আসে। দেশে ফিরে কি করবে কোন কিছু চিন্তা করে খুজে পাচ্ছিল না আলমগীর । পরে এলাকার অনেকের সাথে কথা বললে তারা পরামর্শ দেয় ফলের বাগান করতে অথবা ফলের বাগান কিনে ব্যবসা করতে। এক পর্যায় আলমগীর করিব রাড়িপাড়া গ্রামের একটি ২৫ বিঘা আম বাগান কিনেছে। সে বাগানে প্রতিনিধি ৬ জন করে দিন মজুর কাজ করে। কালীগঞ্জ উপজেলার রাড়িপাড়া গ্রামের এক ব্যাক্তির ২৫ বিঘা জমির আমের বাগান তিনি কিনেছেন । আলমগীর আশা করছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ২৫ বিঘা জমি থেকে তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন। বাগানে রাখা হয়েছে এখন ৬ জন দিন মজুরকে। তারা সকালে আসে আর বিকালে পর্যন্ত কাজ শেষ করে চোলে যায়। এ বাগানে রয়েছে আমরুপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া।
বাগানে উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে পরিচর্যা, সার, কীটনাশক, সেচ, ভিটামিন দেওয়া হচ্ছে । আলমগীর বলছে আম বাগানের সাফল্যর পিছনে মুল শক্তি হিসাবে রয়েছে কায়িক পরিশ্রম। সে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দিন মজুরদের সাথে কাজ করেন। নিজের আম বাগানে কাজ করতে তার খুব ভাল লাগে এ কথা জানালেন আলমগীর কবির।আম বাগানের মধ্যে একটি কুড়ে ঘর নির্মান করা হয়েছে। সেখানে কাজ শেষে বিশ্রাম নেওয়া হয়।
আম বাগানে গিয়ে দেখা যায়,থোকায় থোকায় আমের মুকুল গুলো বাতাশে দোল খাচ্ছে। আম গাছের কচি ডোগা ভেট করে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে হোলদেটে মুকুল গুচ্ছো জেন উকি দিয়ে হাসছে। নিরবতা ভেঙ্গে মৌমাছি দলে দলে এস গুন গুন করে গানের শোভা দিচ্ছে । নাকে আসছে সুন্দর সুগন্ধি ও সু মধুর গন্ধি। বাগান মালিকের সাথে কথা বলে মনে হয়, তার মনের যেন বাগান থেকে অধিক লাভ হবে এমন আশা ও স্বপ্নের দোল খাচ্ছে। আলমগীর বিদেশ থেকে ফিরে এসে এই প্রথম বানিজ্যিক ভাবে আম ব্যবসা শুরু করলো। তিনি আশা করছেন এ বছর লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে লাভের মুখ দেখতে পেলে আগামি বছর আর ও অনেকের জমি বর্গা নিবেন। তিনি আশা করছে এ বছর জমির মালিক ও বিভিন্ন খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন।
রাড়িপাড়া গ্রামের অপর এক আম বাগান মালিক এম জলিল বলেন, আম চাষ লাভ জনক। এটাতে কোন প্রকার লোকসান হয় না । এই ২৫ বিঘা জমির বাগান টি এলাকার সাধারন মানুষ দাঁড়িয়ে ও উকি মেরে দেখে। ওই এলাকায় এমন বড় আম বাগান আর কারো নেই

No comments

Powered by Blogger.